বাসন্তীতে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য
ভোটের মরশুমে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। হামলার নেপথ্যে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। কী হয়েছিল রবিবার রাতে, তা জানতে তদন্তু শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম অনুপ হালদার। অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল সন্ধেয় দলের কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রায় এগারোটা নাগাদ বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তিনি আমঝাড়া এলাকায় পৌঁছতেই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। সেইসময়ই তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। অনুপবাবুর সঙ্গেই বাইকে ছিলেন তাঁর ভাই। দাদাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকে এলোপাথারি কোপায় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের আর্তনাদ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই পালায় অভিযুক্তরা। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় অনুপকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। এবিষয়ে তৃণমূল দলের প্রার্থী শ্যামল মণ্ডল বলেন, বিজেপির দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের কর্মীরা যখন বুথে মিটিং করে ফিরছিলেন তখনই তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়।নিজেদের বিরুদ্ধ ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এ বিষয়ে বিজেপির বাসন্তীর প্রার্থী রমেশ মাঝি বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য, ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে বঙ্গে। এই পরিস্থিতিতেও কার্যত প্রতিদিনই বাংলার প্রতিটি জেলা থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। কোথাও আবার হামলা চলছে বিরোধীদের উপর। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি।